Comic Story
Panel 1
দূর দিগন্তে ধূসর মরুপথ, তারই পাশে ব্যস্ত বাজার। কত মানুষ, কত কোলাহল, কত বেচাকেনা!
Panel 2
এক আগন্তুক এসে থামলেন হাসানের দোকানের সামনে। তার ঘোড়াটি ক্লান্ত, পিঠে চাপানো জিনটিও বেশ পুরোনো।
Panel 3
“ভাইজান, আমি কিছুদিনের জন্য সফরে যাচ্ছি”, বললেন আগন্তুক। “দয়া করে আমার ঘোড়া আর জিনের খেয়াল রাখবেন?”
Panel 4
হাসান মুচকি হেসে বললেন, “অবশ্যই ভাই। নিশ্চিন্তে রেখে যান। আপনার জিনিস আমার কাছে সুরক্ষিত।”
Panel 5
পথের বাঁকে মিলিয়ে গেলেন আগন্তুক। হাসান অপলক তাকিয়ে রইলেন তার চলে যাওয়া পথের দিকে।
Panel 6
দোকানের ভেতরে জিনের স্তূপের মাঝে চোখ আটকে গেল আগন্তুকের জিনের উপরে। কী সুন্দর কাজ! কী নিখুঁত কারিগরি!
Panel 7
মনের ভেতরে দ্বন্দ্ব শুরু হল। এত সুন্দর জিন, নিশ্চয়ই ভালো দাম উঠবে। কিন্তু এটা তো অন্যের আমানত!
Panel 8
লোভের তাড়নায় শেষ পর্যন্ত জিনটিকে নিজের দোকানের জিনের সঙ্গে মিশিয়ে ফেললেন হাসান। কে আর জানতে পারবে!
Panel 9
কয়েক দিন পর ফিরে এলেন সেই আগন্তুক। ক্লান্ত শরীরে, কিন্তু মুখে হাসি।
Panel 10
“আমার জিনটা কোথায়?” জিজ্ঞাসা করলেন আগন্তুক। হাসান ভড়কে গিয়ে এদিক-ওদিক খুঁজতে লাগলেন।
Panel 11
“কী যে হল ভাইজান! জিনটা তো খুঁজে পাচ্ছি না! মনে হয় কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে। আমি খুবই দুঃখিত!”
Panel 12
আগন্তুক হতাশ হলেন, কিন্তু অভিযোগ করলেন না। “আল্লাহ্ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন”, বললেন তিনি।
Panel 13
কিন্তু তার তো একটা জিনের দরকার। তাই তিনি বললেন, “ভাইজান, আপনার কাছে ভালো জিন আছে? একটা কিনতে চাই।”
Panel 14
হাসান তার দোকানের সব জিন দেখাতে লাগলেন, যার মধ্যে আগন্তুকের সেই জিনটিও ছিল।
Panel 15
আগন্তুক নিজের জিনটি দেখিয়ে বললেন, “এই জিনটার দাম কত?”
Panel 16
হাসান একটু ইতস্তত করে বললেন, “এটা খুব ভালো জিন, ভাইজান। এর দাম পাঁচ দিরহাম।”
Panel 17
আগন্তুক পাঁচ দিরহাম দিয়ে নিজের জিনটি কিনে নিলেন।
Panel 18
হাসান মনে মনে হিসাব করলেন, পাঁচ দিরহাম! ঠিক ততটাই, যা তিনি সৎভাবে জিনটি দেখাশোনা করে পেতেন।
Panel 19
জিন কাঁধে নিয়ে পথ চলতে চলতে আগন্তুক ভাবলেন, “আল্লাহ্ তার জন্য পাঁচ দিরহাম নির্ধারিত করে রেখেছেন।”
Panel 20
রিজিক একই ছিল – কিন্তু একটি পথ ছিল আমানতের, অন্যটি খেয়ানতের।