Comic Story
Panel 1
নাহিদ হাসান, বরিশালের এক শান্ত গ্রন্থাগারিক। পুরনো পুঁথির ধুলো ঝাড়তে গিয়ে এক অদ্ভুত মাদুলি খুঁজে পেলেন।
Panel 2
মাদুলিটি ধরতেই শরীরে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেল! প্রাচীন চর্যাপদের শ্লোক যেন তার মনের ভেতর প্রতিধ্বনিত হল।
Panel 3
অদ্ভুত! চোখের সামনে যেন অন্য এক জগৎ খুলে গেল। মানুষের অতীত, ভবিষ্যৎ—সব যেন দেখতে পাচ্ছেন তিনি!
Panel 4
কিন্তু এ কী! প্রতিবার দৃষ্টি ব্যবহার করলেই চোখের জ্যোতি যেন কমে যাচ্ছে। অন্ধত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
Panel 5
ঢাকার অলিতে গলিতে ফিসফিস করে খবর রটেছে এক নতুন শক্তির। মানুষ বলাবলি করছে 'অগ্নিদৃষ্টি'র কথা।
Panel 6
কালনাগ, এক ধূর্ত ব্যবসায়ী। প্রাচীন রসায়নের মাধ্যমে মানুষের মন নিয়ন্ত্রণ করে সে।
Panel 7
কালনাগের উদ্দেশ্য: ভয় দেখিয়ে পুরো দেশকে কব্জা করা। অর্থনীতিকে পঙ্গু করে নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করা।
Panel 8
সুন্দরবনের গভীরে কালনাগের গোপন গবেষণাগার। ম্যানগ্রোভ থেকে বিষাক্ত উপাদান নিষ্কাশন করা হচ্ছে।
Panel 9
নাহিদ মাদুলিটি পরে কালনাগের এক কর্মীর দিকে তাকালেন। দেখতে পেলেন তার ভেতরের ভয়, তার উপর কালনাগের নিয়ন্ত্রণ।
Panel 10
“চোখ যা দেখে, মন তা সামলাতে পারে না,” বিড়বিড় করে বললেন নাহিদ। কালনাগের কুকর্মের ছবি দেখে তিনি শিউরে উঠলেন।
Panel 11
নাহিদ সিদ্ধান্ত নিলেন, যে কোনো মূল্যে কালনাগকে থামাতে হবে। দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে এই ভয়ংকর ষড়যন্ত্র থেকে।
Panel 12
ঢাকার রাস্তায়, জনস্রোতের মাঝে কালনাগের সাঙ্গপাঙ্গদের সাথে মুখোমুখি হলেন নাহিদ। শুরু হল এক ভয়ংকর লড়াই।
Panel 13
অগ্নিদৃষ্টির তেজ ব্যবহার করে রুখে দিলেন শত্রুদের আক্রমণ। কিন্তু চোখের উপর চাপ বাড়ছে, ক্রমশ ঝাপসা হয়ে আসছে দৃষ্টি।
Panel 14
শেষ লড়াই পদ্মাসেতুর উপর। নিচে উত্তাল জলরাশি, উপরে কালনাগ আর নাহিদ। এক দিকে ক্ষমতা, অন্য দিকে সত্য।
Panel 15
কালনাগ তার সম্মোহনী শক্তি প্রয়োগ করলো। কিন্তু নাহিদের মনে দেশের মানুষের ভালোবাসা, তাই সে অবিচল।
Panel 16
নিজের শেষ শক্তি দিয়ে নাহিদ কালনাগকে দেখালেন তার ভবিষ্যৎ। ধ্বংস আর অনুশোচনার এক বিভীষিকাময় চিত্র।
Panel 17
কালনাগ পরাজিত। তার সম্মোহনী ক্ষমতা ভেঙে গেল। দেশের মানুষ মুক্তি পেল এক ভয়ংকর অভিশাপ থেকে।
Panel 18
নাহিদ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, কিন্তু জিতেছেন মানুষের মন। অন্ধকারেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন সত্যের আলো।