Comic Story
Panel 1
রাজধানীর হাজারীবাগ। পুরনো একটি দোতলা বাড়ি। এখানেই ব্যবসায়ী করিম সাহেব তাঁর স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানকে নিয়ে সুখে শান্তিতে বাস করতেন। করিম সাহেবের স্বপ্ন ছিল, তাঁর সন্তানেরা যেন মানুষের মতো মানুষ হয়।
Panel 2
বড় ছেলে নক্ষত্র বাবার ব্যবসায় মন না দিয়ে সারাদিন আড্ডা দিত। করিম সাহেব খুব চিন্তিত ছিলেন নক্ষত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
Panel 3
আলোর বিয়ে হয়ে গেল শহরের এক সাধারণ চাকরিজীবীর সাথে। মা রাহেলা বেগম মনে মনে খুশি হলেও, নাতনি হওয়ায় মুখ গোমড়া করে রাখলেন।
Panel 4
ধীরে ধীরে ছেলেরা বড় হলো, বাবার ব্যবসায় যোগ দিল। কিন্তু নক্ষত্রের স্বভাব বদলালো না। সে আগের মতোই উদাসীন রইল।
Panel 5
ছোট ছেলে নির্ঝর বাবার ব্যবসায় মন না দিয়ে সরকারি চাকরি পেল। দেশের সেবা করার সুযোগ পেয়ে সে খুব খুশি।
Panel 6
চাকরির কারণে নির্ঝরকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকতে হত। পরিবারের সাথে তার দূরত্ব বাড়তে লাগল। তবুও, দেশের প্রতি তার কর্তব্য সে নিষ্ঠার সাথে পালন করে যেত।
Panel 7
একদিন নির্ঝরের পোস্টিং হলো বিদেশে। যাবার আগে নীরা, নির্ঝরের স্ত্রী, তার গয়না ও টাকা নক্ষত্রের স্ত্রীর কাছে জমা রেখে গেল।
Panel 8
নির্ঝর বিদেশ যাবার কিছুদিন পরেই নক্ষত্রের স্ত্রী নাটক করল, যেন তাদের বাসায় ডাকাতি হয়েছে। কিন্তু চুরি গেল শুধু নীরার গয়না।
Panel 9
নীরার মনে সন্দেহ দানা বাঁধল। নির্ঝর দেশে ফিরে এসে সব শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেল।
Panel 10
একদিন রাতে, নক্ষত্র মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরলে নির্ঝর তাকে চেপে ধরল। নক্ষত্র প্রথমে অস্বীকার করলেও, পরে সত্যি কথা স্বীকার করল।
Panel 11
করিম সাহেব জানতে পারলেন, তাঁর বড় ছেলে কত বড় অন্যায় করেছে। তিনি ভেঙে পড়লেন।
Panel 12
নক্ষত্রকে পুলিশে দেওয়া হলো। পরিবারে নেমে এল শোকের ছায়া। কিন্তু নির্ঝর মনে শান্তি পেল, ন্যায়বিচার হয়েছে।
Panel 13
বছর পেরিয়ে যায়। নক্ষত্র জেল থেকে ফিরে আসে। পরিবার তাকে ক্ষমা করে দেয়। কিন্তু আগের সেই সম্পর্ক আর ফিরে আসে না।
Panel 14
সময় বহিয়া যায়। করিম সাহেব ও রাহেলা বেগম মারা যান। ভাইয়েরা আবার এক হয়। কিন্তু শিকড়ের টান অনুভব করে শুধু নির্ঝর।
Panel 15
পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। নির্ঝর বুঝতে পারে, রক্তের সম্পর্কই শেষ কথা নয়, ভালোবাসাই আসল।