Comic Story
Panel 1
হাজারীবাগ, ঢাকা। আবদুল করিম, একজন সফল ব্যবসায়ী, তার স্ত্রী আমেনা বেগম এবং পাঁচ সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতেন। তাদের সংসারে ছিল চার ছেলে - নক্ষত্র, ধ্বনি, তরঙ্গ, নির্ঝর এবং একমাত্র মেয়ে আলো।
Panel 2
সময় গড়ালো, আলো বড় হলো। তার বিয়ে হলো শহরের এক প্রাইভেট চাকরিজীবীর সাথে। তাদের দুটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম নিল।
Panel 3
নক্ষত্র, বড় ছেলে, বাবার পুরনো বিজনেস পার্টনারের মেয়েকে বিয়ে করলো। তাদের সংসারে এলো দুটি পুত্র সন্তান। ধ্বনি, মেজ ছেলে, মায়ের চোখের মণি, বিয়ে করলো তাদের পছন্দের পাত্রীকে।
Panel 4
তরঙ্গ, সেজ ছেলে, মামার সহায়তায় পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করলো। তাদের একটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। নির্ঝর, ছোট ছেলে, ভালোবাসার নীড় বাঁধলো নীরাকে নিয়ে।
Panel 5
নক্ষত্র, ধ্বনি ও তরঙ্গ বাবার ব্যবসায় যোগ দিল। নির্ঝর সরকারি চাকরি পেল, পোস্টিং হলো দেশের নানা প্রান্তে। বছরে একবার কি দুবার বাড়ি ফেরে।
Panel 6
চাকরির সূত্রে নির্ঝর পরিবার নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমালো। দেশের সেবা করে যায়, কিন্তু পরিবারের সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এদিকে, তিন ভাই বাবার সম্পত্তি নিজেদের নামে করার ফন্দি আঁটে।
Panel 7
বিদেশে যাবার তিন মাসের মাথায় নীরার গহনা চুরি হলো। বড় ভাইয়ের স্ত্রীর ওপর ছিল সব দেখাশোনার দায়িত্ব। ডাকাতির নাটক সাজানো হলো, কিন্তু সন্দেহ গিয়ে পড়লো অন্যদের ওপর।
Panel 8
তিন ভাই মিলে বাবাকে চাপ দিতে শুরু করলো সম্পত্তি ভাগ করে দেয়ার জন্য। বাবা প্রথমে আলোকে কিছু অংশ লিখে দিলেন, যাতে ভাইয়েরা তাকে ঠকাতে না পারে।
Panel 9
অবিরাম চাপের মুখে বাবা ব্রেইন স্ট্রোক করলেন। আইসিইউতে ভর্তি করা হলো। নির্ঝর খবর পেয়ে ছুটে এলো বিদেশ থেকে।
Panel 10
হাসপাতালে বাবার চিকিৎসা চললো। ধ্বনি চিকিৎসার খরচের নাম করে ব্যবসা থেকে টাকা সরাতে শুরু করলো। ভাইদের মধ্যে ব্যবসার ভাগ নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে উঠলো।
Panel 11
ধূর্ত ধ্বনি দুই ভাইকে লোভ দেখিয়ে রাইস মিল নিজের নামে লিখিয়ে নিলো। মাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেল করলো। ছোট ভাই ও বোনকে অন্ধকারে রেখে ম্যাজিস্ট্রেট এনে রেজিস্ট্রি করার পরিকল্পনা করলো।
Panel 12
ছোট ভাই দেশে ফেরার আগেই ধ্বনি তড়িঘড়ি করে সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নিলো। বাবা টিপসই দিতে বাধ্য হলেন। সম্পত্তি লুটের মহড়া চলতে থাকলো।
Panel 13
নির্জর ফিরে এসে দেখলো সব শেষ। বড় ভাই একটি ব্যবসা নিলো, ধ্বনি রাইস মিল, সেজ ভাইকে টাকার লোভ দেখিয়ে আরেকটি প্রতিষ্ঠান নিজের নামে করলো। মায়ের খারাপ ব্যবহারে নির্ঝর আবার বিদেশে চলে যেতে বাধ্য হলো।
Panel 14
মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে বাবা মারা গেলেন। নির্ঝর বাবার জানাজায় অংশ নিতে পারলো না, দূর থেকে শুধু কেঁদে গেল।
Panel 15
চাকরি শেষে নির্ঝর দেশে ফিরে পৈতৃক বাসার পাশে থাকতে শুরু করলো। সম্পত্তি ভাগ করার জন্য আত্মীয়-স্বজনের কাছে ধরনা দিলো।
Panel 16
সম্পত্তি ভাগের সময় ধ্বনি প্রথমে রাজি না হলেও পরে বাকি সম্পত্তিতেও ভাগ বসাতে চাইলো। তিন ভাই মিলে নির্ঝরকে কম সম্পত্তি দিতে চাইলো।
Panel 17
নির্জর ঝামেলা এড়িয়ে যা পেল তাতেই সন্তুষ্ট থাকলো। কিন্তু তার উন্নতি দেখে ভাইয়েরা ঈর্ষান্বিত হতে শুরু করলো। মায়ের কটু কথা তাকে আরও আঘাত করলো।
Panel 18
মাকে শায় দিয়ে বড় আর মেজো ছেলে তার দুই মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানান কথা বলতে লাগলো। মায়ের অবহেলা আর অপমানে জর্জরিত হয়ে নির্ঝর আবার দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলো।
Panel 19
একদিন কাউকে কিছু না বলে নির্ঝর স্ত্রী-কন্যা নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমালো। কিন্তু সেখানেও শান্তি নেই, দেশে রেখে যাওয়া বাড়িটি দখলের জন্য বড় ভাই উঠে পড়ে লাগলো।
Panel 20
বাড়িটি বিক্রি করতে চাইলে বড় ভাই রাস্তার অংশ নিজের দাবি করে দেয়াল তুলে দিলো। ছোট ভাইকে হেনস্থা করার জন্য নানান ফন্দি আঁটতে লাগলো।
Panel 21
দেয়ালের কারণে বাড়ি বিক্রি করতে বেগ পেতে হচ্ছে। আইনের আশ্রয় নিতে চেয়েও পরিবারের কথা ভেবে পিছিয়ে এলো নির্ঝর।
Panel 22
ছোট ছেলেটি কোন ঝামেলা যাতে না হয় এবং তার জমিটি যেন তিনি বিক্রি করে ফেলতে পারেন সে ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভিটেমাটির মায়া কাটিয়ে শান্তি কি সে খুঁজে পাবে?