Comic Story
Panel 1
পুরোনো ঢাকার একটি ভাড়া বাড়ি। বাড়িওয়ালা জলিল সাহেব, লুডু খেলছেন আর একের পর এক নালিশ করছেন। তার স্ত্রী, মর্জিনা বেগম, সংসারের কাজে ব্যস্ত।
Panel 2
জলিল সাহেব বললেন, “এই শহরের মানুষগুলো শুধু চিকন শরীর খোঁজে, ভেতরের মনটা কেউ দেখে না।” মর্জিনা বেগম দীর্ঘশ্বাস ফেললেন, “শরীর নয়, মনটাই আসল।”
Panel 3
কয়েকদিন পর, পাশের ফ্ল্যাটে এলেন নতুন ভাড়াটিয়া, শায়লা ভাবি। রোগা পাতলা, সুন্দরী। জলিল সাহেবের চোখ চকচক করে উঠলো।
Panel 4
মর্জিনা বেগম দেখলেন, জলিল সাহেবের মতিগতি ভালো নয়। তিনি মনে মনে ভাবলেন, “সাবধান হতে হবে, সংসারটা আমার।”
Panel 5
একদিন দুপুরে, জলিল সাহেব শায়লা ভাবির ঘরে ঢুকলেন। মর্জিনা বেগম দূর থেকে দেখলেন। তার বুকের ভেতরটা ধক করে উঠলো।
Panel 6
প্রতিবেশীরা ফিসফিস করে কথা বলতে শুরু করলো। মর্জিনা বেগমের কানে এলো সব কথা। তিনি চুপ করে শুনলেন, কিন্তু ভেতরে ভেতরে ফুঁসছিলেন।
Panel 7
মর্জিনা বেগম সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি তার সংসার ভাঙতে দেবেন না। তিনি মনে জোর আনলেন, “আমি মোটা হতে পারি, কিন্তু দুর্বল নই।”
Panel 8
পরের দিন, মর্জিনা বেগম শায়লা ভাবির বাসায় গেলেন। তিনি শান্ত স্বরে বললেন, “বোন, তুমি ভুল করছো। সংসার ভাঙা ভালো না।”
Panel 9
ঠিক সেই মুহূর্তে, জলিল সাহেব ঘরে ঢুকলেন। মর্জিনা বেগমকে দেখে তিনি থতমত খেয়ে গেলেন। তার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেল।
Panel 10
মর্জিনা বেগম জলিল সাহেবের দিকে তাকিয়ে বললেন, “তুমি শরীর দেখে ভুলে গেছিলে, মনের মূল্য কতখানি। আজ বুঝলে তো?” জলিল সাহেব মাথা নিচু করে রইলেন।
Panel 11
সেই দিন থেকে জলিল সাহেব বদলে গেলেন। তিনি বুঝলেন, স্ত্রীর মনের জোরের কাছে সব শরীরই হার মানে। তিনি মর্জিনা বেগমের কাছে ক্ষমা চাইলেন।
Panel 12
মর্জিনা বেগম হেসে বললেন, “শরীর চিকন হলেই সব হয় না, মনটাকেও একটু মোটা করতে হয়, ভালোবাসতে জানতে হয়।” জলিল সাহেব মাথা নেড়ে সায় দিলেন।