Comic Story
Panel 1
হাজারীবাগের পুরোনো গলিতে রফিক সাহেবের বিশাল সংসার। স্ত্রী আমেনা বেগম আর ছয় সন্তান - আলো, নক্ষত্র, ধ্বনি, তরঙ্গ, নির্ঝর। সুখেই কাটছিল তাদের দিন।
Panel 2
আলোর বিয়ে হলো। জামাই সাদামাটা চাকরি করে। তাদের দুটি ফুটফুটে মেয়ে এলো সংসারে। রফিক সাহেব নাতি-নাতনিদের পেয়ে খুব খুশি।
Panel 3
নক্ষত্রের বিয়ে হলো অন্য শহরে। শ্বশুর তার বাবার পুরোনো ব্যবসায়িক অংশীদার। তাদের দুটি ছেলে সন্তান। ব্যবসা আরও বাড়লো।
Panel 4
ধ্বনি বাবার চোখের মণি। পছন্দের পাত্রীর সাথে তার বিয়ে দিলেন রফিক সাহেব। তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে হলো। সংসারে আনন্দ বেড়ে গেল।
Panel 5
তরঙ্গ মামার পছন্দে বিয়ে করলো। তাদের একটি ছেলে আর দুটি মেয়ে। সংসারে নতুন সদস্য আসায় রফিক সাহেবের মন ভরে উঠলো।
Panel 6
ছোট ছেলে নির্ঝর ভালোবাসার নীরাকে বিয়ে করলো। তাদের দুটি কন্যাসন্তান হলো। নির্ঝর সরকারি চাকরি পেল।
Panel 7
নক্ষত্র, ধ্বনি আর তরঙ্গ বাবার সাথে ব্যবসায় যোগ দিলো। নির্ঝর চাকরি নিয়ে দূরে চলে গেল। বছরে একবার কি দুবার বাড়ি আসে সে।
Panel 8
চাকরির জন্য নির্ঝরকে বিদেশে যেতে হলো। দেশের সেবা আর পরিবারের ভবিষ্যৎ, দুটোই তার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।
Panel 9
এদিকে তিন ভাই মিলে নির্ঝরকে বঞ্চিত করার ফন্দি আঁটছে। বাবার কাছ থেকে সব সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা।
Panel 10
বাবার শরীর খারাপ। তিনি আলোকে কিছু সম্পত্তি লিখে দিলেন, যাতে ভাইয়েরা তাকে ঠকাতে না পারে।
Panel 11
তিন ছেলের ক্রমাগত চাপের কারণে রফিক সাহেব ব্রেইন স্ট্রোক করলেন। তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হলো।
Panel 12
খবর পেয়ে নির্ঝর দেশে ফিরল। জানতে পারলো ভাইয়েরা সম্পত্তির জন্য বাবাকে চাপ দিয়েছে।
Panel 13
হাসপাতালে অনেক খরচ। ধ্বনি ব্যবসার টাকা সরাতে শুরু করলো। ভাইয়েরা ব্যবসার ভাগ নিয়ে নিজেদের মধ্যে লড়ছে।
Panel 14
ধ্বনি চালাকি করে রাইস মিল নিজের নামে লিখিয়ে নিলো। মাকে ব্ল্যাকমেল করলো, ম্যাজিস্ট্রেটকে প্লেনে করে আনলো।
Panel 15
নির্ঝর দেশে ফিরে দেখলো সব শেষ। রাইস মিল ধ্বনির নামে। অন্য ভাইয়েরাও সম্পত্তি ভাগ করে নিয়েছে।
Panel 16
বাবা মারা গেলেন। নির্ঝর জানাজায় অংশ নিতে পারলো না। দূর থেকে শুধু চোখের জল ফেললো।
Panel 17
ফিরে এসে নির্ঝর পৈতৃক ভিটার পাশে বাসা করলো। আত্মীয়-স্বজনের কাছে ধরনা দিলো, সালিশ বসলো।
Panel 18
সম্পত্তি ভাগাভাগির সময় ধ্বনি বেঁকে বসলো। বললো, সরকারি চাকরি করে নির্ঝরের এত সম্পত্তির দরকার নেই।
Panel 19
ছোট ছেলে ঝামেলা না বাড়িয়ে যা পেল তাতেই খুশি। ভাইয়েরা মাকে হাতখরচ দেবে বলে রাজি হলো।
Panel 20
নির্ঝর চাকরি আর সম্পত্তির টাকায় গাড়ি কিনলো, মেয়েদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করলো। ভাইয়েরা হিংসা করতে শুরু করলো।
Panel 21
মা সবসময় নাতনিদের অবহেলা করে। বলে, মেয়েদের এত লেখাপড়া করিয়ে কী হবে? বিয়ে দিয়ে দিলেই তো হয়!
Panel 22
ছোট ছেলে সুযোগ পেয়েই চাকরি ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমালো। স্ত্রী আর সন্তানদেরকেও নিয়ে গেল।
Panel 23
দূরে থেকেও নির্ঝর তার পরিবারের শান্তি খুঁজে পেল। ত্যাগের প্রতিদান সে এভাবেই পেল।