Comic Story
Panel 1
শহরের অদূরে, পুরোনো এক বটগাছের নিচে করিমের আস্তানা। রাতের আঁধারে, গাছের ডালপালা যেন হাতছানি দেয়।
Panel 2
নাহিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে যায় সেই বটগাছের কাছে। 'জ্বিন-টিন কিছু নেই, সব বুজরুকি!'
Panel 3
গাছের কাছে যেতেই ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেল, যেন কেউ ফিসফিস করে কথা বলছে। নাহিদের বুকের ভেতরটা ধক করে উঠলো, তবুও সে ভয় পেল না।
Panel 4
হঠাৎ, গাছের একটি ডাল ভেঙে পড়ল, আর তার সাথে ভেসে এলো এক বিকট হাসি। নাহিদ ভয়ে চিৎকার করে উঠলো।
Panel 5
পরের দিন নাহিদ অসুস্থ হয়ে পড়ল, গায়ে অসহ্য জ্বর। তার মা, আয়েশা বেগম, ছেলের জন্য চিন্তায় অস্থির।
Panel 6
ডাক্তার বললেন, এটা সাধারণ জ্বর, কিন্তু আয়েশা বেগমের মন মানতে চায় না। তিনি বুঝতে পারেন, এটা কোনো অভিশাপ।
Panel 7
রাতে নাহিদ ঘুমের ঘোরে অদ্ভুত সব কথা বলতে শুরু করলো, যেন কেউ তার মুখ দিয়ে কথা বলছে। 'আমি করিম, এই মাটি আমার!'
Panel 8
আয়েশা বেগম ভয় পেয়ে স্থানীয় এক ইমামকে ডাকলেন। ইমাম সাহেব এসে কোরআন তেলওয়াত শুরু করলেন।
Panel 9
কিন্তু কোনো লাভ হলো না। করিমের শক্তি আরও বাড়তে লাগলো। নাহিদের শরীর ধীরে ধীরে কালো হয়ে যেতে লাগলো।
Panel 10
একদিন, রাতে, নাহিদের ছোট বোন, রিনি, ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে মারা গেল। সবাই হতবাক।
Panel 11
পুলিশ তদন্ত করে বলল, এটা দুর্ঘটনা। কিন্তু আয়েশা বেগম জানেন, এটা করিমের কাজ। সে প্রতিশোধ নিচ্ছে।
Panel 12
এরপর, নাহিদের বাবা, কামাল সাহেব, নিখোঁজ হয়ে গেলেন। তার লাশ পাওয়া গেল সেই বটগাছের নিচে, শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন।
Panel 13
আয়েশা বেগম একা হয়ে গেলেন। তিনি বুঝতে পারলেন, করিমকে থামাতে না পারলে, সে তাকেও ছাড়বে না।
Panel 14
আয়েশা বেগম সেই বটগাছের কাছে গেলেন, হাতে ছুরি। 'করিম, তুই আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছিস। আজ আমি তোর শেষ দেখব!'
Panel 15
কিন্তু করিমের শক্তি ছিল অনেক বেশি। সে আয়েশা বেগমকে আক্রমণ করলো, তার শরীর ক্ষতবিক্ষত করে দিল।
Panel 16
আয়েশা বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন, রক্তে ভেসে গেল চারপাশ। করিমের হাসি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলো। শয়তানের অভিশাপ জয়ী হলো।