Comic Story
Panel 1
ঢাকার ধানমন্ডির পুরনো এক বিল্ডিং। তিনতলার ৭ নম্বর ফ্ল্যাটটা প্রায় বছরখানেক ধরে খালি পড়ে ছিল। কেমন যেন একটা গা ছমছমে ব্যাপার!
Panel 2
একদিন হঠাৎ খবর রটে গেল, ফ্ল্যাটটা নাকি কেউ ভাড়া নিয়েছে। বাড়িওয়ালার মুখে হাসি, কিন্তু আশপাশের মানুষের চোখেমুখে অস্বস্তি!
Panel 3
এতদিন খালি ছিল, হঠাৎ এত রাতে কেউ এসে উঠল! ছেলেটা আবার কথা-বার্তা ও খুব কম বলে...
Panel 4
নতুন ভাড়াটিয়া - সাফওয়ান রহমান। গম্ভীর চেহারার ৩০-৩২ বছরের এক যুবক। নিজেকে পরিচয় দেয়, ফ্রিল্যান্স সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।
Panel 5
বাড়িওয়ালাকে সাফওয়ান জানায়, তার স্ত্রী আর ছোট ভাই কিছুদিনের মধ্যেই আসবে। কিন্তু রাতে ফ্ল্যাটে শুধু আলো জ্বলে, ছায়া দেখা যায়, কেউ বের হয় না।
Panel 6
একদিন বেল বাজিয়ে খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম, দরজা খুলল না। ভেতর থেকে বাচ্চার গলার আওয়াজ শোনা গেল... অথচ সে তো বলেছিল তার বাচ্চা এখনো আসেনি!
Panel 7
কাউকে দেখলাম না, কিন্তু রান্নার গন্ধ আসে… তাহলে কে রান্না করে?
Panel 8
তিন দিন পর, একটি খাবার ডেলিভারি আসে ৭ নম্বর ফ্ল্যাটে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ডেলিভারিম্যান ফ্ল্যাটে ঢোকে, কিন্তু বের হওয়ার কোনো দৃশ্য নেই!
Panel 9
ডেলিভারিম্যানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, ফোনও বন্ধ। পরিবার থানায় রিপোর্ট করেছে।
Panel 10
থানার তদন্ত কর্মকর্তা রাশেদ আহমেদ দায়িত্ব নিলেন। তিনি বাড়িওয়ালাকে বললেন, 'আপনি যার হাতে চাবি দিয়েছেন, তার ভাড়া চুক্তিপত্র দেখান!'
Panel 11
চুক্তিতে দেওয়া তথ্য: নাম: সাফওয়ান রহমান, এনআইডি: ভুয়া, ফোন নম্বর: বন্ধ, স্থায়ী ঠিকানা: মোহাখালী। কিন্তু মোহাখালীর কেউ সাফওয়ানকে চিনে না।
Panel 12
রাশেদ রাতে বিল্ডিংয়ে গিয়ে দেখলেন ৭ নম্বর ফ্ল্যাটে আলো জ্বলছে। বেল দিলেও কেউ দরজা খুলল না।
Panel 13
দরজায় কান দিয়ে ফিসফিস করে শুনতে পান - 'আসলে সে এখানেই আছে... শুধু ভিন্ন রূপে।'
Panel 14
পরের দিন সকালে পুরো বিল্ডিং চমকে ওঠে—৭ নম্বর ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে লাগানো, অথচ খোলা!
Panel 15
মেঝেতে পড়ে আছে খাবারের ব্যাগ আর ডেলিভারিম্যানের মোবাইল ফোন। ফ্ল্যাটের ভেতর কেউ নেই!