Comic Story
Panel 1
দোস্ত! মালটা হেব্বি ছিল রে। খুব মজা পাইছি। দেখতে হবে না গার্লফ্রেন্ডটা কার ছিল?
Panel 2
হেসে হেসেই হিমেলকে উত্তরটা দিলাম। আসলেই তো নগ্ন অবস্থাতেও দিয়াকে কত সুন্দর লাগছে। তবে এভাবে দিয়াকে নগ্ন করে রাখা যাবে না।
Panel 3
ভালোবাসার দিনগুলোতে স্বপ্ন দেখতাম দিয়াকে নিজের হাতে সাজিয়ে দিব। সেই কাজটা আজ করব। আসার সময় ই দিয়াকে সাজানোর উপকরণ সব নিয়ে এসেছি।
Panel 4
আগে ইচ্ছা ছিল লাল শাড়ি পরাব, তবে এখন আর লাল শাড়ি মানাবে না তাই কালো শাড়ি দিয়েই সাজাব। শাড়িটা নিয়ে যখন দিয়াকে একটু আগে দেখাই সে একটু অবাক ই হয়।
Panel 5
জিজ্ঞাসা করে লাল শাড়িতে সাজানোর ইচ্ছা বাদ দিয়ে কালো শাড়ি কেন? যদিও উত্তর টা দেই নি,কারণ মুখে বলার চেয়ে বুঝানোই ভালো হবে। হিমেলকে ডাক দিয়ে পাশের টেবিল থেকে ব্যাগ টা এনে দিতে বললাম।
Panel 6
হিমেল ব্যাগ টা নিয়ে এলো। ব্যাগের ভিতর থেকে একে একে সব কিছু বের করছি। একটা কালো শাড়ি, কালো রঙের দুই ডজন কাচের চুড়ি, আলতা, আরো অনেক কিছু।
Panel 7
তুই এসব দিয়ে কি করবি এখন? হিমেল জিজ্ঞাসা করলো। দিয়াকে এভাবে দেখতে ভালো লাগছে না। তাই একটু নিজের মনের মত করে সাজাব।
Panel 8
আমার এমন উত্তর শুনে হিমেল একটু বিরক্ত ই হলো মনে হচ্ছে। যা ই হোক ওর কি হলো না হলো তাতে আমার যায় আসে না। আমি আমার কাজ করে যাবো। আমি আমার দিয়াকে আমার মনের মত করে সাজাব।
Panel 9
হিমেলকে বললাম পাশের রুমে গিয়ে রান্না ঘরটা ঠিক মত দেখতে। লাশটাকে কিভাবে পুড়িয়ে ফেলা যায় সেটার একটা পরিকল্পনা ঠিক করতে। হিমেল সে কাজেই চলে গেল।
Panel 10
আমি দিয়াকে সাজানোর ব্যাপারে মনোযোগ দিলাম। অবশ্য নিজের মনের মত করে দেখাটাই প্রধান উদ্দেশ্য না,আরো একটা উদ্দেশ্য আছে দিয়াকে সাজনোর।
Panel 11
এভাবে যদি লাশটাকে ফেলে যাই তবে সবাই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বুঝে যাবে। সন্দেহের তীর আমার দিকেও আসতে পারে। আমি চাই না এত তাড়াতাড়ি মাত্র একটা খুনের কারনে জীবনটা শেষ হয়ে যাক।
Panel 12
তাই ভালোভাবে পরিকল্পনা করে সব কিছু করতে হবে। আগুনে পুড়ে মারা গেছে এমন একটা অবস্থা তৈরি করতে পারলেই হবে। পুড়ে ছাই হয়ে গেলে তেমন কোন প্রমান থাকবে না।
Panel 13
কিভাবে শাড়ি পরাতে হয় সেটাও ঠিক মত জানি না। ইউটিউব দেখে কিছুটা শিখে এসেছি। সেভাবেই সাজিয়ে যাচ্ছি। একটা নিথর দেহকে শাড়ি পরানো ঝামেলা মনে হচ্ছে।
Panel 14
তবুও করতেই হবে। পায়ে আলতা দিয়ে তারপর চুড়িও পরিয়ে দিলাম। কিন্তু এভাবে শুয়ে থাকলে তো ভালো দেখা যাচ্ছে না। বিছানার সব গুলো বালিশ একত্র করলাম।
Panel 15
একত্র করে তার সাথে হেলান দিয়ে দিয়াকে বসানোর চেষ্টা করলাম। তবুও বার বার পড়ে যাচ্ছিল। কোন রকম তিনপাশে হেলান দিয়ে রাখলাম। এখন একটু আফসোস হচ্ছে।
Panel 16
জীবিত থাকা অবস্থায় মনে হয় আরো বেশি সুন্দর লাগত। একটা মেয়ে এত সুন্দর হতে পারে! কি রে, তাড়াতাড়ি কর। রাত তো শেষ হয়ে যাবে এভাবে।
Panel 17
আমাদের আবার সব শেষ করে বাসায় যেতে হবে। হিমেলের কথায় রাগ উঠলেও আবার ভাবলাম ঠিক ই তো আছে। তাড়াতাড়ি সব কাজ শেষ করে চলে যেতে হবে।
Panel 18
এতই যদি ভালোবাসতি,তাহলে এভাবে মারার কি দরকার ছিল? কেন তুই জানিস না? হিমেলকে জিজ্ঞাসা করলাম।
Panel 19
হ্যা জানি তো, আচ্ছা বাদ দে।আমি সব ব্যবস্থা করেছি। এখন লাশটা নিয়ে আয়। কিভাবে কি করবি আমাকে বল আগে। তারপর নিয়ে যাচ্ছি।
Panel 20
গ্যাসের সিলিন্ডার টা দেখে মনে হলো আজকে নতুন করে ভরে আনা হয়েছে। তাই কাজটা আরো সহজ হয়ে গেছে। পুরাতন একটা সিলিন্ডার দিয়েছে। ওটার মাঝখানে ছোট করে একটা ছিদ্র করে দিয়েছি।
Panel 21
যা দিয়ে গ্যাস বের হচ্ছে একটু করে। আর জানালাটা বন্ধ করে দিয়ে আসছি। চুলার উপর পেঁয়াজ, মরিচ সব কেটে রাখছি। যদিও পুড়ার পর এসব এর অস্তিত্ব থাকবে না,তবুও যদি থাকে যেন মনে হয় কোন রান্নার কাজে রুমে এসে ছিল,আর সেখানে চুলা জ্বালাতে গিয়েই আগুন লেগে মারা যায়।
Panel 22
ভালো বুদ্ধি,তবে আগুন কিভাবে দিবি ভিতরে? আর আগুন দিয়ে তো আমাদের ও বের হয়ে যেতে হবে। সেই চিন্তা তর করতে হবে না।অনেক গুলা মুভি দেখে আগুন দেওয়া শিখে এসেছি। তুই খালি দেখবি।
Panel 23
আচ্ছা বলে আমি দিয়াকে নিয়ে রান্না ঘরে গেলাম। যাওয়ার আগে দিয়ার সাথে কয়েকটা সেলফি তুলে রাখলাম। দিয়ার কথা বেশি মনে পড়লে ছবি গুলা দেখবো।
Panel 24
সব কাজ শেষ করে হিমেল আর আমি বাসায় চলে এলাম। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে দুজনেই খাবার টেবিলে বসে আছি। ভালোই তো হলো আজ, তুই একটা সুন্দর গল্প পেয়ে গেলি আজ।
Panel 25
কিসের গল্প পেলাম আবার? এইতো বন্ধুর সামনে বন্ধুর গার্লফ্রেন্ডকে ধর্ষণ করে হত্যা। এটা নিয়ে অবশ্যই দারুণ একটা থ্রিলার গল্প লিখে ফেলতে পারবি।
Panel 26
আমার কথা শুনে হিমেল হাহা করে হেসে দিলো। হয়ত আমার বুদ্ধিটা ওর ভালো লেগেছে। গল্প লেখক হিসেবে ভালোই নাম আছে হিমেলের। আর এই ধরণের গল্প হলে মানুষ একটু বেশিই পড়বে।
Panel 27
নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আবার আমাদের আকর্ষণ বেশি। কি রে,তর কি খারাপ লাগতেছে এখন? একটু অন্য মনষ্ক দেখে হিমেল আমাকে জিজ্ঞাসা করলো।
Panel 28
আরে না,আমার আবার কেন খারাপ লাগবে? হ্যা,ঠিক ই তো, যে মেয়ে তর মত একটা ভালো ছেলেকে ধোকা দিতে পারে তাকে মারার মাঝে কোন পাপ নাই। আপাদত আমি কোন পাপ দেখছি না।
Panel 29
কি ধরনের খারাপ! তর সাথে ১০ বছরের রিলেশন, তার পরেও সেই ডাক্তার ছেলের সাথে আবার রুম ডেট করে।একটা কথা আছে না,মেয়েরা টাকাওয়ালা ছেলে পেলে এমনেই কাপড় খুলে দেয়।
Panel 30
থাম তো তুই।আমি আর ওর ব্যাপারে কোন কথা বলতে চাচ্ছি না। একটু চিৎকার দিয়েই কথাটা বললাম।হিমেল থেমে গেল।সে তার খাবারের দিকে মনোযোগ দিল।
Panel 31
আমি খাওয়া শেষ না করেই চলে গেলাম। কালকে সকালে হয়ত দিয়ার আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার খবর টা পত্রিকায় আসবে। মেয়েটার কথা ভেবে অনেক বেশিই খারাপ লাগছে।
Panel 32
বার বার মায়া মাখা মুখ টা চোখের সামনে ভেসে আসছে। কিভাবে পারলাম আমি সেটা ভেবেও একটু অবাক হচ্ছি। যে মেয়েটার চোখে এক ফোটা পানি এলেও নিজেকে অপরাধী লাগতো,মনে হতো আমার জন্যই কাদছে হয়ত সে।
Panel 33
আর আজ তাকে মেরে ফেলার পরেও কোন রকম অপরাধবোধ কাজ করছে না। দিয়ার নাক ফুটানোর সময় আমি সাথে ছিলাম। সে সময় ওর মুখের দিকে তাকাতে পারি নাই।
Panel 34
ব্যাথার ছাপ সহ্য করতে পারবো না তাই।আর আজ নিজের হাতে গলা টিপে মারার সময় ও সামান্য পরিমান খারাপ লাগল না।সব কিছুই সময়ের সাথে কতটা বদলে যায়। ভাবতে আর ভালো লাগছে না।
Panel 35
রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।হিমেল আমার আগেই এসে শুয়ে পড়ছে।কয়েকবার ডাক দিলাম হিমেলকে। কিন্তু শুনলো না। তারমানে ঘুমের ওষুধ এর প্রভাব শুরু হয়ে গেছে।