Comic Story
Panel 1
রাহাত, গ্রামের স্কুলের সবচেয়ে চুপচাপ ছেলে। সবাই তাকে 'ভীতু' নামে ডাকে, কারণ সে কারো সাথে মিশতে পারে না। তার চোখ সবসময় মাটির দিকে নিবদ্ধ থাকে।
Panel 2
ক্লাসরুমে শিক্ষক বোর্ডে অঙ্ক কষছেন। হঠাৎ, গ্রামের পুরনো পাওয়ার লাইনে গোলযোগের কারণে আলো নিভে গেল। চারদিকে অন্ধকার নেমে আসে।
Panel 3
শিক্ষক জানতে চাইলেন, “কারো কাছে কি মোমবাতি আছে?” সবাই চুপ করে রইল, যেন কিছুই করার নেই। তখনই রাহাত তার ব্যাগ থেকে একটি ছোট টর্চলাইট বের করে।
Panel 4
একজন বন্ধু ফিসফিস করে বলল, “এই ছেলেটা কথা বলতেই ভয় পায়, আর এখন এত সাহস?” শিক্ষক হেসে বললেন, “সাহস শব্দে নয়, কাজে প্রকাশ পায়।”
Panel 5
স্কুলের বার্ষিক বিজ্ঞান মেলা চলছে। সবাই নিজেদের প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত, কিন্তু রাহাত একা বসে আছে। তার মনে ভয়, যদি তার প্রজেক্ট ভালো না হয়।
Panel 6
একজন শিক্ষক রাহাতের কাছে এসে বললেন, “তুমি চুপচাপ, তার মানে এই নয় যে তোমার ভেতরে কিছু নেই। নিজের মতো করে কিছু একটা তৈরি করো।” শিক্ষক তাকে উৎসাহ দেন।
Panel 7
রাহাত রাত জেগে একটি সৌরবিদ্যুৎচালিত ল্যাম্প বানালো। তার মা পাশে বসে কাপড় সেলাই করছেন। মা বললেন, “তুই পারবি বাবা, তোর মতো কেউ আলো বানায় না। তুই তো নিজেই একটা আলো।”
Panel 8
বিজ্ঞান মেলায় রাহাতের প্রজেক্ট সবার দৃষ্টি কাড়ে। বিচারকরা বললেন, “এই ল্যাম্প গ্রামের বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় পরিবর্তন আনতে পারে!” রাহাত পুরস্কার জিতে নিল।
Panel 9
স্টেজে দাঁড়িয়ে রাহাত বলল, “আমি সবসময় ভেবেছি আমি দুর্বল। আসলে, আমি শুধু নিজের ভেতরের আলো খুঁজে পাইনি।” তার চোখে আজ নতুন আত্মবিশ্বাস।
Panel 10
রাহাত আরও বলে, “সবাই চায় আলোতে দাঁড়াতে, কিন্তু আমি বুঝেছি, ছায়ার বাইরেও আলো খুঁজে পাওয়া যায়।” আজ সে আর ভীতু নয়, সাহসী।
Panel 11
প্রতিভা সবসময় চিৎকার করে না। কখনও কখনও, সেটা টর্চলাইটের মতো নীরব আলো হয়ে জ্বলে ওঠে। অন্ধকার কেটে যায়, নতুন দিনের সূচনা হয়।