Comic Story
Panel 1
রকি বিচ শহরের প্রান্তে, পুরনো কবরখানাটা যেন এক ভয়ের সাম্রাজ্য। দিনের আলোতেও সেখানে কেমন যেন একটা গা ছমছমে ভাব লেগে থাকে।
Panel 2
কিশোর, মুসা আর রবিন মোবাইল হোমের পেছনের সিক্রেট রুমে বসে ছিল। হঠাৎ, সেই পুরনো ফোনটা বেজে উঠল, যা কেবল বিশেষ মুহূর্তেই বাজে।
Panel 3
ফোনের ওপারে এক বৃদ্ধের কণ্ঠস্বর, পরিচয় গোপন করে শুধু বললেন, “ওল্ড উইলো কবরস্থানে যাও, দেখবে অদ্ভুত কিছু ঘটছে।” কথা শেষ না হতেই লাইনটা কেটে গেল।
Panel 4
কিশোর গম্ভীর হয়ে বলল, “রহস্যের শুরু! মুসা, রবিন, তৈরি হয়ে নাও। আজ রাতেই আমরা কবরখানায় যাব।”
Panel 5
মুসা মুখ বাঁকিয়ে বলল, “কবরখানা! কিছুদিন আগেই তো ভূতের পাল্লায় পড়েছিলাম, ভুলে গেছিস নাকি?” রবিন হেসে মুসার দিকে তাকিয়ে বলল, “আরে বাবা, আজ ভূত নয়, রহস্য!”
Panel 6
গভীর রাতে, সাইকেলে চেপে তিন বন্ধু পৌঁছল কবরস্থানে। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার, আর বাতাসে ভেসে আসা ঠান্ডা একটা গন্ধ।
Panel 7
কাঁটাতারের বেড়া টপকে ভেতরে ঢুকল তারা। কবরের সারিগুলোর মধ্যে যেন মৃত্যুর নীরবতা বিরাজ করছে। হঠাৎ, একটা কবরের মাটি নড়তে শুরু করল!
Panel 8
মুসা ভয়ে চিৎকার করে উঠল, “খাইছে! ভূত উঠতেছে!” কিশোর টর্চলাইট ফেলতেই দেখা গেল, মাটি খুঁড়ছে একটা ছোট মেশিন।
Panel 9
মেশিনের পাশে পড়ে আছে একটা নীল রঙের ব্যাগ। কিশোর ব্যাগটা খুলতেই দেখল—পুরো ভর্তি চোরাই গহনা!
Panel 10
রবিন ফিসফিস করে বলল, “আমার মনে হয়, এই কবরস্থানের নিচে একটা গোপন সুড়ঙ্গ আছে। চোরাই মালগুলো ওখানেই লুকানো হচ্ছে।”
Panel 11
কিশোর মাথা নেড়ে বলল, “এটা একটা বড় চক্র। পুলিশকে জানাব কাল, তবে আগে প্রমাণ চাই। চল, সুড়ঙ্গটা খুঁজে বের করি।”
Panel 12
তিনজনে সাবধানে সুড়ঙ্গে নামল। চারপাশে নিস্তব্ধতা, শুধু মুসার চাপা গোঙানি শোনা যাচ্ছে, “খাইছে খাইছে, এবার বুঝি কবরেই শুতে হবে!”