Comic Story
Panel 1
মরুভূমির বুকে ছোট্ট গ্রাম, যেখানে জলের অভাব নিত্যদিনের সঙ্গী। রমিজা, তরুণী এক, চোখে তার স্বপ্ন বাঁচার।
Panel 2
কুয়ো প্রায় শুকিয়ে গেছে, গ্রামের মানুষের হাহাকার যেন বালির ঝড়ে মিশে যায়। রমিজার বাবা, করিম চাচা, শেষ চেষ্টা করে দেখছেন, যদি একটু জল পাওয়া যায়।
Panel 3
“আর জল নেই, রমিজা,” করিম চাচা হতাশ হয়ে বললেন। “আমাদের অন্য কোথাও যেতে হবে, যেখানে একটু দয়া আছে।”
Panel 4
রমিজা রাজি নয়। “আমরা যাব না, বাবা। এই মাটি আমাদের, এইখানেই আমাদের শিকড়।”
Panel 5
একদিন রাতে, রমিজা স্বপ্নে দেখল, দূরে একটা সবুজ মরূদ্যান। সেখানে জলের ফোয়ারা, পাখির কলরব, আর বাঁচার আশ্বাস।
Panel 6
পরের দিন সকালে, রমিজা বাবাকে বলল স্বপ্নের কথা। “আমি যাব, বাবা। আমি সেই মরূদ্যান খুঁজে আনব।”
Panel 7
করিম চাচা প্রথমে রাজি ছিলেন না, কিন্তু রমিজার জেদ দেখে হার মানলেন। “সাবধানে যেও, মা। আল্লাহ তোমার সহায় হোন।”
Panel 8
রমিজা একা যাত্রা শুরু করল, সঙ্গে সামান্য খাবার আর জলের পাত্র। সূর্যের তেজ বাড়ছে, মরুভূমি যেন আগুনের হলকা।
Panel 9
কয়েকদিন পর, জল প্রায় শেষ, শরীর দুর্বল। রমিজা দেখল, দূরে বালির ঝড়ে ঢাকা এক রহস্যময় মূর্তি।
Panel 10
কাছে গিয়ে দেখল, ওটা কোনো পুরোনো দেবীর মূর্তি, হাতে ধরা একটি পাত্র। পাত্রটি কানায় কানায় জলে ভরা।
Panel 11
রমিজা জল পান করল, শরীরে নতুন শক্তি ফিরে এল। কিন্তু তখনই মূর্তিটি কথা বলল, “এই জল শুধু তাদের জন্য, যারা নিজের জীবন উৎসর্গ করতে পারে।”
Panel 12
রমিজা বুঝতে পারল, মরূদ্যান পেতে হলে তাকে নিজের জীবনের বিনিময়ে জল দিতে হবে। দ্বিধা না করে সে রাজি হল।
Panel 13
ঠিক তখনই, আকাশ কালো করে ঝড় উঠল। মরুভূমির বুকে জেগে উঠল এক বিশাল মরূদ্যান, জলের ফোয়ারা ঝলমল করছে।
Panel 14
রমিজার শরীর মাটিতে মিশে গেল, কিন্তু তার আত্মত্যাগ গ্রামের মানুষকে বাঁচিয়ে দিল। বালির কান্না থেমে, হাসিতে ভরে উঠল মরুভূমি।