Comic Story
Panel 1
প্রথম দৃশ্য: দানা ফিনটেকের অফিস। সকাল নটা। শ্রেয়সী, বয়স ২৮, ল্যাপটপের স্ক্রিনে ঝুঁকে কোডিং করছে। তার চোখেমুখে গভীর মনোযোগ। অফিসের অন্যান্য কর্মীরাও নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। বাইরে হালকা রোদ। শ্রেয়সীর সহকর্মী রিয়া এসে বলল, “কিরে, শ্রেয়সী, আজও সকাল থেকে কাজ? একটু তো দম নে!” শ্রেয়সী হেসে উত্তর দিল, “আর বলিস না, রিয়া। ডেডলাইন যে ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে!”
Panel 2
দ্বিতীয় দৃশ্য: ক্যান্টিন। দুপুর একটা। শ্রেয়সী আর রিয়া একসাথে লাঞ্চ করছে। রিয়া জানতে চাইল, “আচ্ছা শ্রেয়সী, তোকে না সেদিন তন্ময় ফোন করছিল? কী বলছিল?” শ্রেয়সী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “হ্যাঁ, করছিল। সেই একই কথা—বিয়ে কবে করবি? আমার যে অফিসের কাজের চাপ সামলাতে দম ফেলার সময় নেই, সেটা কে বোঝে!” রিয়া সহানুভূতি দেখিয়ে বলল, “বুঝি রে বুঝি। কিন্তু মা-বাবা তো চাইবেনই। একটু সময় করে কথা বলিস।”
Panel 3
তৃতীয় দৃশ্য: শ্রেয়সীর অ্যাপার্টমেন্ট। রাত আটটা। শ্রেয়সী ক্লান্ত শরীরে সোফায় বসে আছে। তার হাতে একটি কফির মগ। মোবাইলটা হাতে নিয়ে তন্ময়ের সাথে কথা বলছে। “তন্ময়, আমি জানি তোমরা আমার ভাল চাও। কিন্তু আমার এখন একটু সময় দরকার। প্লিজ বোঝার চেষ্টা করো।” তন্ময় ফোনের ওপারে কিছুটা হতাশ হয়ে বলল, “ঠিক আছে, শ্রেয়সী। তুমি যখন বলছ, আমি অপেক্ষা করব।”
Panel 4
চতুর্থ দৃশ্য: দানা ফিনটেকের অফিস। পরের দিন সকাল। শ্রেয়সী তার টিমের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করছে। প্রজেক্টের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা চলছে। শ্রেয়সী আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজের মতামত পেশ করছে। তার দলনেতা তার কাজের প্রশংসা করলেন। শ্রেয়সী মনে মনে শান্তি পেল।
Panel 5
পঞ্চম দৃশ্য: শ্রেয়সী তার ডেস্কে বসে কোডিং করছে। তার মুখে হাসি। হঠাৎ তার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে—তন্ময়ের মেসেজ। মেসেজে লেখা, “আজ রাতে ডিনারে যাবে?” শ্রেয়সী মুচকি হেসে রিপ্লাই দিল, “অবশ্যই।”
Panel 6
ষষ্ঠ দৃশ্য: একটি সুন্দর রেস্টুরেন্ট। শ্রেয়সী আর তন্ময় মুখোমুখি বসে আছে। তাদের চোখেমুখে ভালবাসা। শ্রেয়সী বলল, “থ্যাংক ইউ, তন্ময়, বোঝার জন্য।” তন্ময় হেসে উত্তর দিল, “আমি তো আছিই তোমার জন্য।” তারা দুজনেই একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসল।