Comic Story
Panel 1
ডানা ফিনটেকের প্রধান কার্যালয়। সকাল আটটা। হাসান ফারুক তার অফিসের বিশাল জানালা দিয়ে শহরের দিকে তাকিয়ে আছেন। তার কপালে চিন্তার ভাঁজ। আজকের দিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইস্টার্ন ব্যাংকের সাথে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা। এই চুক্তি ডানা ফিনটেকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তিনি মনে মনে নিজেকে প্রস্তুত করছেন। "আজ যেভাবেই হোক, চুক্তিটা আমাকে করতেই হবে," তিনি বিড়বিড় করে বললেন।
Panel 2
হাসান ফারুকের গাড়ি ইস্টার্ন ব্যাংকের দিকে যাচ্ছে। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়লেন। মিটিং শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। ড্রাইভারকে তিনি বললেন, “আরেকটু তাড়াতাড়ি চালাও তো। জ্যামটা ছাড়লেই স্পীড বাড়াবে।” ড্রাইভার অসহায়ভাবে বলল, “স্যার, আমার তো কিছু করার নেই। জ্যাম না সরলে গাড়ি তো আর উড়বে না।”
Panel 3
ইস্টার্ন ব্যাংকের রিসেপশন এরিয়া। হাসান ফারুক ঘর্মাক্ত শরীরে রিসেপশনিস্টের সামনে দাঁড়ালেন। রিসেপশনিস্ট মিষ্টি হেসে জানতে চাইলেন, “আমি কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?” হাসান ফারুক হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন, “আমার নাম হাসান ফারুক। ডানা ফিনটেক থেকে এসেছি। আমার সাথে আজ ম্যানেজারের মিটিং আছে।” রিসেপশনিস্ট কম্পিউটারে দেখে বললেন, “বসুন স্যার, ম্যানেজার সাহেব আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন।”
Panel 4
ম্যানেজারের অফিস। হাসান ফারুক এবং ম্যানেজার মুখোমুখি বসে আছেন। টেবিলের উপর চুক্তির কাগজ। ম্যানেজার বললেন, “ফারুক সাহেব, আমরা আপনার প্রস্তাবটি খুব মনোযোগ দিয়ে দেখেছি। কয়েকটি বিষয়ে আমাদের আরও আলোচনা করা দরকার।” হাসান ফারুক কিছুটা হতাশ হলেন। তিনি প্রস্তুত ছিলেন, হয়তো সবকিছু সহজেই হয়ে যাবে। কিন্তু পরিস্থিতি ভিন্ন। তিনি বললেন, “অবশ্যই, বলুন কি জানতে চান।”
Panel 5
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আলোচনা চলল। হাসান ফারুক ধৈর্য ধরে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিলেন এবং তাদের উদ্বেগের কারণগুলো সমাধান করলেন। অবশেষে, ম্যানেজার মুচকি হেসে বললেন, “ফারুক সাহেব, আপনার যুক্তিতে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা চুক্তিটি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত।” হাসান ফারুকের মুখে হাসি ফুটল। এতক্ষণের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।
Panel 6
চুক্তি স্বাক্ষরের মুহূর্ত। হাসান ফারুক এবং ম্যানেজার হাসিমুখে চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন। ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ঝলসে উঠলো। ডানা ফিনটেকের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল। বাইরে অপেক্ষারত ফটোগ্রাফার ছবি তুলছেন।
Panel 7
ডানা ফিনটেকের অফিসে ফিরে এসে হাসান ফারুক তার সহকর্মীদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন। সবাই করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। তিনি তৃপ্তির হাসি হেসে বললেন, “আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজ এই চুক্তি সম্ভব হয়েছে। ধন্যবাদ সবাইকে।”