Comic Story
Panel 1
গ্রামের প্রান্তে, পুরোনো দিনের একটি জীর্ণ কুঁড়েঘর। বাইরে বাঁশের বেড়া আর লতানো গাছ। ভেতরে মলিন জামাকাপড় পরা বৃদ্ধ মানুষটি, সুরেন্দ্রনাথ, হারমোনিয়ামে ধুলো ঝাড়ছেন। তার চোখে বিষণ্ণ দৃষ্টি। বহু বছর আগের কথা মনে পড়ছে। সুরেন্দ্রনাথ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “কোথায় হারিয়ে গেল সেই সুর… সেই মায়া…।” বাইরে হালকা বৃষ্টির শব্দ।
Panel 2
সুরেন্দ্রনাথের নাতনি, এষা, শহরে থাকে। সে আজ গ্রামে এসেছে দাদুর সাথে দেখা করতে। এষা এসে দেখে দাদু একা হারমোনিয়াম নিয়ে আনমনে বসে আছেন। এষা বলল, “দাদু, কি হয়েছে তোমার? এত মন খারাপ কেন?” সুরেন্দ্রনাথ চমকে তাকালেন, “এষা! তুই এসেছিস? ভালো করেছিস মা। আমার যে আর কেউ নেই।” এষা দাদুর পাশে বসলো, তার চোখে স্নেহ।
Panel 3
এষা জানতে চাইল, “দাদু, তুমি কী সুর খুঁজছিলে?” সুরেন্দ্রনাথ বললেন, “একটা গান ছিল, এষা। তোর দিদিমার খুব প্রিয় ছিল। বিয়ের সময় আমি ওকে গেয়ে শুনিয়েছিলাম। সেই সুরটা আজ আর মনে করতে পারছি না। কেমন যেন সব ঝাপসা হয়ে গেছে।” এষা দাদুর হাত ধরল, “আমি তোমাকে মনে করিয়ে দেব, দাদু। চলো, আমরা একসাথে গাইব।”
Panel 4
এষা আর সুরেন্দ্রনাথ একসাথে হারমোনিয়ামের সামনে বসলেন। এষা পুরোনো দিনের গান গাইতে শুরু করল, যেগুলো তার দিদিমার পছন্দের ছিল। প্রথমে সুরেন্দ্রনাথ চুপ করে শুনছিলেন, তারপর ধীরে ধীরে তার মুখে হাসি ফুটল। তিনি এষার সাথে গলা মেলালেন। ভুল সুরে হলেও, বহু বছর পর সেই গান আবার তাদের কুঁড়েঘরে ধ্বনিত হল।
Panel 5
গাইতে গাইতে সুরেন্দ্রনাথের স্মৃতি কিছুটা ফিরতে শুরু করল। তিনি ধীরে ধীরে গানের আসল সুরটা ধরতে পারলেন। তার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। এষা বলল, “দাদু, তুমি পেরেছ! তুমি সুরটা খুঁজে পেয়েছ!” সুরেন্দ্রনাথ বললেন, “হ্যাঁ রে মা। তোর দিদিমা যেন আমার কানে কানে সুরটা বলে দিল।”
Panel 6
সূর্য ডুবছে, সোনালী আলো কুঁড়েঘরের ভেতর এসে পড়েছে। সুরেন্দ্রনাথ আর এষা একসাথে সেই গান গাইছে, যে গান তাদের দুজনের হৃদয় জুড়ে আছে। সেই গানের সুরে যেন তাদের ভালোবাসা, স্মৃতি আর সম্পর্কের গভীরতা মিশে আছে। বাইরে পাখিরা নীড়ে ফিরছে, আর গ্রামের মানুষজন তাদের সুর শুনতে পাচ্ছে।