Comic Story
Panel 1
গ্রামের পাশে ছোট্ট নদীর ধারে, সোনালী নামের একটি মেয়ে আনমনে বসে বাঁশি বাজাচ্ছিল। তার বাঁশির সুরে মুগ্ধ হয়ে পাখিরাও গান গাইছিল। সোনালী খুব শান্ত এবং প্রকৃতিপ্রেমী একটি মেয়ে। তার বাঁশিটি ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। “আহা! কী সুন্দর সুর!” সোনালী আপন মনে বলল।
Panel 2
হঠাৎ, একটা দমকা হাওয়া এসে সোনালীর হাত থেকে বাঁশিটা কেড়ে নিয়ে গেল। বাঁশিটা নদীর জলে পড়ে ভেসে যেতে লাগল। সোনালী আঁতকে উঠলো, “ওহ! আমার বাঁশি!” সে দ্রুত নদীর পাড় ধরে দৌড়াতে লাগল, কিন্তু বাঁশিটা স্রোতের টানে অনেক দূরে চলে গেল। সোনালীর চোখে জল এসে গেল।
Panel 3
সোনালী কাঁদতে কাঁদতে নদীর পাড়ে বসে পড়ল। এমন সময়, এক বৃদ্ধ জেলে তার নৌকা নিয়ে সেখানে এলেন। তিনি সোনালীর কান্নার কারণ জানতে চাইলেন। “আমার বাঁশিটা নদীতে পড়ে গেছে, দাদু!” সোনালী কাঁদতে কাঁদতে বলল। জেলে দাদু হেসে বললেন, “মন খারাপ করো না, মা। চলো, আমি তোমাকে সাহায্য করি।”
Panel 4
জেলে দাদু তার নৌকা চালালেন এবং সোনালীকে নিয়ে নদীর মাঝে গেলেন। তারা অনেকক্ষণ ধরে বাঁশিটা খুঁজতে লাগলেন। অবশেষে, জেলে দাদু বাঁশিটা খুঁজে পেলেন। সোনালী আনন্দে চিৎকার করে উঠলো, “পেয়েছি! আমার বাঁশি!” সে জেলে দাদুকে জড়িয়ে ধরল।
Panel 5
বাঁশিটা হাতে পেয়ে সোনালী খুব খুশি হলো। কিন্তু জেলে দাদু বললেন, “সোনালী, শুধু বাঁশি পেলেই হবে না। এর সুর ফিরিয়ে আনতে হবে। সুর ছাড়া বাঁশি মূল্যহীন।” সোনালী বুঝতে পারল, জেলে দাদু কী বলতে চাইছেন।
Panel 6
সোনালী আবার নদীর ধারে গিয়ে বসল এবং বাঁশি বাজাতে শুরু করল। প্রথমে সুরটা ঠিক আসছিল না, কিন্তু ধীরে ধীরে তার মনের সব কষ্ট আর হতাশা সুর হয়ে বেরিয়ে এল। তার বাঁশির সুরে আবার সেই আগের মতো মায়া ফিরে এল। পাখিরা আবার গান গাইতে শুরু করল। সোনালী হাসল। সে বুঝতে পারল, জীবনের সুর হারিয়ে গেলে, তাকে আবার খুঁজে নিতে হয়।