Comic Story
Panel 1
দূরের এক সবুজ অরণ্যে, শ্রেক নামের এক দৈত্য বাস করত। সে ছিল বিশাল আর শক্তিশালী, কিন্তু ভেতরে ছিল এক নরম হৃদয়। একদিন, সে স্বপ্নে দেখল এক অপরূপ রাজকুমারীকে, যার হাসি তার হৃদয় চুরি করেছে। শ্রেক জানত, তাকে সেই রাজকুমারীকে খুঁজে বের করতেই হবে। শ্রেক (মনে মনে): কে তুমি, রাজকুমারী? কোথায় তোমার ঠিকানা? [ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল: দূরে একটি কুঁড়েঘরের দিকে ফোকাস করা, যেখানে শ্রেক দাঁড়িয়ে আছে। আকাশ মেঘলা, যেন কোনো অজানার হাতছানি]
Panel 2
স্বপ্নের সূত্র ধরে, শ্রেক এসে পৌঁছাল বাংলাদেশে। সবুজ ধানক্ষেত আর নদীর তীরে খুঁজে বেড়াতে লাগল তার রাজকুমারীকে। গ্রামের মানুষেরা প্রথমে ভয় পেলেও, শ্রেকের চোখে তারা খুঁজে পেল সরলতা আর ভালোবাসার আকুতি। গ্রামের লোক: এত বড় দৈত্য! এখানে কী চাই? শ্রেক: আমি আমার রাজকুমারীকে খুঁজছি। সে আমার স্বপ্নে আসে। [ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল: শ্রেক একটি গ্রামের পাশে দাঁড়িয়ে, গ্রামের লোকেরা তাকে ঘিরে রেখেছে। তাদের চোখে ভয় এবং কৌতুহল দুটোই।]
Panel 3
একদিন, শ্রেক শুনল রূপকথার গল্প। এক অভিশপ্ত রাজকুমারী, যাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে এক পুরনো প্রাসাদে। সেই প্রাসাদটি নাকি এই গ্রামের কাছেই অবস্থিত। শ্রেকের মনে হল, এই সেই রাজকুমারী, যার জন্য তার হৃদয় ব্যাকুল। এক বৃদ্ধ: শুনেছি, এই জঙ্গলের পাশেই এক পুরনো প্রাসাদ আছে। সেখানে এক রাজকুমারী বন্দী। শ্রেক: রাজকুমারী! আমাকে সেখানে নিয়ে চলুন! [ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল: শ্রেক এক বৃদ্ধের সাথে কথা বলছে। বৃদ্ধের মুখে চিন্তার ছাপ, যেন সে কোনো গোপন কথা বলছে।]
Panel 4
শ্রেক পৌঁছাল সেই পুরনো প্রাসাদে। প্রাসাদটি ছিল অন্ধকার আর পরিত্যক্ত। কিন্তু শ্রেকের মনে ছিল আশা। সে খুঁজতে লাগল তার রাজকুমারীকে। অবশেষে, সে খুঁজে পেল তাকে - এক বন্দী রাজকুমারী, যার চোখে বিষাদের ছায়া। শ্রেক: রাজকুমারী! আমি এসেছি তোমাকে মুক্ত করতে। রাজকুমারী: তুমি কে? [ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল: শ্রেক একটি অন্ধকার কামরায় প্রবেশ করেছে, যেখানে রাজকুমারী বন্দি। রাজকুমারীর চোখে ভয় এবং অবিশ্বাস।]
Panel 5
কিন্তু রাজকুমারী ছিল এক শক্তিশালী জাদুকরের দখলে। জাদুকর শ্রেকের সাথে যুদ্ধ করতে এল। শ্রেক তার সমস্ত শক্তি দিয়ে জাদুকরের সাথে লড়াই করল। ভালোবাসার শক্তি আর হৃদয়ের সাহস দিয়ে, শ্রেক পরাজিত করল জাদুকরকে। জাদুকর: তুমি আমাকে হারাতে পারবে না! শ্রেক: আমি আমার ভালোবাসার জন্য সব করতে পারি! [ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল: শ্রেক এবং জাদুকরের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। প্রাসাদের দেওয়াল ভেঙে পড়ছে, যেন এক ধ্বংসলীলা।]
Panel 6
জাদুকর পরাজিত হওয়ার পর, রাজকুমারী মুক্তি পেল। শ্রেক দেখল, তার স্বপ্নের রাজকুমারী তার সামনে দাঁড়িয়ে। তাদের চোখাচোখি হল, আর মুহূর্তেই তারা বুঝতে পারল - তাদের ভালোবাসা চিরন্তন। রাজকুমারী: তুমি আমার জীবন বাঁচালে। শ্রেক: আমি তোমাকে ভালোবাসি, রাজকুমারী। [ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল: শ্রেক এবং রাজকুমারী একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের চোখে গভীর ভালোবাসা।]
Panel 7
শ্রেক আর রাজকুমারী ফিরে এল গ্রামে। গ্রামের লোকেরা তাদের সাদরে গ্রহণ করল। তারা একসাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগল। শ্রেক প্রমাণ করল, ভালোবাসা কোনো বাধা মানে না, এমনকি দৈত্য আর রাজকুমারীর মধ্যেও নয়। গ্রামের লোক: তোমাদের ভালোবাসা অমর হোক! শ্রেক: ধন্যবাদ। আমরা সবসময় একসাথে থাকব। [ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল: শ্রেক এবং রাজকুমারী গ্রামের লোকদের সাথে হাসিমুখে কথা বলছে। চারিদিকে খুশির আবহাওয়া।]
Panel 8
এবং সেই থেকে, শ্রেক আর রাজকুমারী বাংলাদেশের সবুজ প্রান্তরে এক নতুন জীবন শুরু করলো, যেখানে ভালোবাসা আর বিশ্বাস সবসময় জয়ী হয়। তাদের গল্প রূপকথার পাতায় লেখা রইল, যা যুগ যুগ ধরে মানুষকে ভালোবাসতে উৎসাহিত করবে। [ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল: শ্রেক এবং রাজকুমারী একটি সবুজ ধানক্ষেতের পাশে হাতে হাত ধরে হাঁটছে। সূর্য অস্ত যাচ্ছে, আর তাদের মুখে হাসি।]