Comic Story
Panel 1
বর্ষার বিকেল। মেঘলা আকাশ আর ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। আট বছরের মিতালী বারান্দায় চুপ করে বসে আছে। তার হাতে একটা পুরোনো বাঁশের বাঁশি, কিন্তু বাজাতে পারছে না। বাঁশিটা তার মায়ের ছিল, যিনি কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। মিতালীর চোখে বিষণ্ণতা।
Panel 2
মিতালীর বাবা, শুভেন্দু বাবু, এসে মেয়ের পাশে দাঁড়ালেন। তিনি মিতালীর মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, "কী রে মা, আজ বাঁশি বাজাবি না? তোর মা তো খুব সুন্দর বাজাতেন।" মিতালী বাবার দিকে তাকিয়ে বলল, "আমি চেষ্টা করছি বাবা, কিন্তু সুর বেরোচ্ছে না। মায়ের মতো হয় না।"
Panel 3
শুভেন্দু বাবু হেসে বললেন, "আরে বাবা, চেষ্টা করলে নিশ্চয়ই পারবে। তোর মায়ের কাছেও প্রথম প্রথম সুর বেরোত না। একটু ধর তো বাঁশিটা।" শুভেন্দু বাবু বাঁশিটা নিলেন এবং মিতালীকে সুর সাধার নিয়ম শেখাতে লাগলেন।
Panel 4
অনেক চেষ্টার পর, মিতালী ধীরে ধীরে বাঁশিতে ফুঁ দিতে শুরু করলো। প্রথমে বেসুরো আওয়াজ বেরোলেও, কিছুক্ষণ পর একটা হালকা সুর ভেসে এলো। মিতালী অবাক হয়ে বাবার দিকে তাকালো।
Panel 5
শুভেন্দু বাবু উৎসাহ দিয়ে বললেন, "এই তো! হচ্ছে তো! চালিয়ে যা। মনে রাখবি, তোর মায়ের ভালোবাসা মিশে আছে এই বাঁশিতে।" মিতালী আবার বাজাতে শুরু করলো। এবার সুরটা আরও স্পষ্ট, আরও মিষ্টি।
Panel 6
বৃষ্টি থেমে গেছে। আকাশে একফালি রামধনু উঠেছে। মিতালী আপন মনে বাঁশি বাজাচ্ছে। সেই সুর যেন তার মায়ের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। তার মুখে এখন হাসি, আর সেই হাসিতে মায়ের প্রতিচ্ছবি।