Comic Story
Panel 1
রূপা, একটি শান্ত এবং লাজুক মেয়ে, একটি পুরনো, শান্ত গ্রন্থাগারে বসে আছে। তার চারপাশে উঁচু উঁচু বইয়ের স্তূপ, যেন সেগুলোর মধ্যে সে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে। সূর্যের আলো জানালার কাঁচ ভেদ করে এসে তার মুখে পড়ছে, কিন্তু তার চোখে বিষণ্ণতার ছাপ স্পষ্ট। সে একটি পুরোনো বই পড়ছে, কিন্তু তার মন অন্য কোথাও। সে সবসময় ভাবত, কেন তার বন্ধুরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। রূপা (মনে মনে): আর কতদিন এভাবে থাকব আমি? সবাই কেন শুধু বাইরের সৌন্দর্য দেখে? আমার কি নিজের কোনো মূল্য নেই?
Panel 2
কলেজের করিডোরে রূপা একা হেঁটে যাচ্ছে। তার পাশ দিয়ে কয়েকজন ছেলে হাসাহাসি করতে করতে গেল, তাদের কথাগুলো রূপার কানে গেল - 'দেখেছিস রূপাকে? এখনো সেই আগের মতোই আছে... ফ্যাশন সেন্স একেবারে জিরো!' রূপা মাথা নিচু করে দ্রুত হেঁটে গেল, যেন তার পায়ের নীচের মাটিও সরে যাচ্ছে। রূপা (মনে মনে): আমি কি কখনো ওদের মতো হতে পারব না? কেন আমি দেখতে সুন্দর নই?
Panel 3
একদিন গ্রন্থাগারে একটি পুরোনো ডায়েরি খুঁজে পায় রূপা। ডায়েরিটা একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানীর, যিনি সমাজের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন। ডায়েরিটা পড়ার সময় রূপা অনুভব করলো, ভেতরের সৌন্দর্যই আসল। ডায়েরীর পাতা থেকে: 'সৌন্দর্য বাইরের আবরণ মাত্র, ভেতরের জ্ঞান এবং ইচ্ছাশক্তিই একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ করে তোলে।' রূপা (মনে মনে): তার মানে, আমাকেও নিজের ভেতরের শক্তি খুঁজে বের করতে হবে।
Panel 4
রূপা সিদ্ধান্ত নেয়, সে নিজের দুর্বলতাগুলোকে শক্তিতে রূপান্তরিত করবে। সে পড়াশোনায় আরও বেশি মনোযোগ দেয়, বিজ্ঞান ও সাহিত্য চর্চা শুরু করে। ধীরে ধীরে তার আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। সে বুঝতে পারে, তার ভেতরের জ্ঞান এবং প্রতিভা বাইরের সৌন্দর্যকে ছাপিয়ে যেতে পারে। রূপা (নিজের মনে): আমি প্রমাণ করব, সৌন্দর্য শুধু বাইরের নয়, ভেতরেরও হয়।
Panel 5
কলেজের একটি বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে রূপা একটি অত্যাশ্চর্য প্রজেক্ট উপস্থাপন করে – একটি সৌরবিদ্যুৎ চালিত জল পরিশোধন যন্ত্র। তার প্রজেক্টটি শুধু প্রশংসিত হয় না, প্রথম পুরস্কারও জেতে। সবাই তার জ্ঞান এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়। সেই ছেলেগুলো, যারা আগে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করত, তারাও অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। ঘোষক: এবং প্রথম পুরস্কার যাচ্ছে রূপা সেনগুপ্তের দলে! তাদের সৌরবিদ্যুৎ চালিত জল পরিশোধন যন্ত্রটি সত্যিই অসাধারণ!
Panel 6
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পর রূপার কাছে অনেকে এসে তার কাজের প্রশংসা করে। সে বুঝতে পারে, তার ভেতরের সৌন্দর্য আজ সবার চোখে ধরা পড়েছে। সে আর সেই লাজুক, ভীতু মেয়েটি নেই। সে এখন আত্মবিশ্বাসী, জ্ঞানী এবং একজন অনুপ্রেরণা। একজন দর্শক: তোমার প্রজেক্টটা অসাধারণ ছিল রূপা! তুমি সত্যিই খুব বুদ্ধিমান। রূপা: ধন্যবাদ। আমি চেষ্টা করেছি নিজের ভেতরের শক্তিকে কাজে লাগাতে।
Panel 7
সূর্যাস্তের আলোয় রূপা গ্রন্থাগারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখেমুখে আজ নতুন আলো, নতুন স্বপ্ন। সে জানে, জীবনের পথ কঠিন, কিন্তু নিজের ভেতরের সৌন্দর্য এবং শক্তি দিয়ে সে সবকিছু জয় করতে পারবে। রূপা (মনে মনে): সৌন্দর্য শুধু বাইরে নয়, ভেতরেও থাকে। আর সেই ভেতরের সৌন্দর্যই আসল শক্তি।