Comic Story
Panel 1
প্রথম দৃশ্য: ডঃ অর্ণব সেন, মধ্যবয়স্ক, ল্যাব কোট পরিহিত, তার ছোট গবেষণাগারে একা কাজ করছেন। ল্যাবটি নানা রকম যন্ত্রপাতিতে ভরা। তিনি একটি জটিল যন্ত্রের দিকে গভীর মনোযোগের সাথে তাকিয়ে আছেন। বাইরে রাতের অন্ধকার। টেবিলের ওপর একটি কফি কাপ এবং কিছু কাগজপত্র ছড়ানো রয়েছে। অর্ণব (স্বগতোক্তি): প্রায় হয়ে এসেছে... আর একটু হলেই শতাব্দীর সেরা আবিষ্কারটা করে ফেলব। পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর স্বপ্নটা সত্যি হবে। বর্ণনা: ডঃ অর্ণব সেন দিনের পর দিন, রাতের পর রাত ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তাঁর চোখেমুখে ক্লান্তি থাকলেও, একটি নতুন কিছু আবিষ্কারের তীব্র আকাঙ্ক্ষা স্পষ্ট।
Panel 2
দ্বিতীয় দৃশ্য: হঠাৎ, যন্ত্রটি থেকে একটি উজ্জ্বল আলো ছিটকে বের হয়। অর্ণব আনন্দে চিৎকার করে ওঠেন। অর্ণব: হ্যাঁ! অবশেষে! আমি পেরেছি! দূষণ নিরাময় করার উপায় আমি খুঁজে বের করেছি! বর্ণনা: অর্ণবের আবিষ্কারটি একটি বিশেষ ফিল্টার, যা কলকারখানা থেকে নির্গত হওয়া বিষাক্ত গ্যাসকে সম্পূর্ণরূপে পরিশুদ্ধ করতে সক্ষম। এই আবিষ্কার পরিবেশ সুরক্ষায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
Panel 3
তৃতীয় দৃশ্য: একটি বিশাল কর্পোরেট অফিসের দৃশ্য। মিস্টার রায়, একজন ধূর্ত ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, তার বিলাসবহুল অফিসে বসে আছেন। তার সামনে একটি স্ক্রিনে অর্ণবের আবিষ্কারের খবর দেখানো হচ্ছে। মিস্টার রায় (ফোনে): আমি চাই এই বিজ্ঞানীর সাথে আমার এখনই দেখা করতে হবে। যে কোনও মূল্যে এই আবিষ্কার আমাদের চাই। দাম যাই হোক না কেন! বর্ণনা: মিস্টার রায় একজন নির্মম ব্যবসায়ী। তিনি অর্ণবের আবিষ্কারটিকে ব্যবহার করে আরও বেশি মুনাফা লাভের পরিকল্পনা করছেন, পরিবেশের উন্নতির প্রতি তার কোনও আগ্রহ নেই।
Panel 4
চতুর্থ দৃশ্য: মিস্টার রায়ের অফিসে অর্ণব। মিস্টার রায় অর্ণবকে মোটা অঙ্কের টাকার প্রস্তাব দিচ্ছেন, বিনিময়ে আবিষ্কারের স্বত্ব তাকে দিতে বলছেন। মিস্টার রায়: ডঃ সেন, আপনার আবিষ্কারের জন্য আমি আপনাকে প্রচুর অর্থ দিতে রাজি। শুধু স্বত্বটা আমাদের কোম্পানির নামে করে দিতে হবে। অর্ণব: আমি দুঃখিত, মিস্টার রায়। এই আবিষ্কার মানবতার জন্য। আমি এটা আপনার হাতে তুলে দিতে পারব না, যা শুধু মুনাফার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে। বর্ণনা: অর্ণব জানেন যে মিস্টার রায়ের হাতে এই আবিষ্কার গেলে, তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছবে না, বরং শুধুমাত্র কিছু বিশেষ মানুষের সুবিধা হবে।
Panel 5
পঞ্চম দৃশ্য: অর্ণব তার আবিষ্কারটি নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছেন। তিনি সারা বিশ্বের মানুষের কাছে তার আবিষ্কারের কথা জানাচ্ছেন। অর্ণব: আমি বিশ্বাস করি, বিজ্ঞান মানবতার কল্যাণের জন্য। এই আবিষ্কার সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমি চাই সবাই মিলেমিশে আমাদের পৃথিবীকে বাঁচাই। সাংবাদিক: ডঃ সেন, আপনার এই সিদ্ধান্তের কারণে আপনি অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। কর্পোরেট জগৎ আপনার বিরুদ্ধে যেতে পারে। অর্ণব: আমি জানি, কিন্তু আমি আমার নীতি থেকে সরব না।
Panel 6
ষষ্ঠ দৃশ্য: মিস্টার রায়ের দল অর্ণবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারা মিথ্যা প্রচার চালায় এবং অর্ণবের চরিত্র হননের চেষ্টা করে। বর্ণনা: মিস্টার রায় এবং তার দল অর্ণবের আবিষ্কারকে থামানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করতে থাকে। তারা ভয় দেখায়, হুমকি দেয়, কিন্তু অর্ণব অবিচল থাকেন।
Panel 7
সপ্তম দৃশ্য: সাধারণ মানুষ অর্ণবের পাশে এসে দাঁড়ায়। তারা অর্ণবের আবিষ্কারকে সমর্থন করে এবং মিস্টার রায়ের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। বর্ণনা: অর্ণব একা নন। তার সাথে আছে সাধারণ মানুষ, যারা পরিবেশের প্রতি যত্নশীল। তারা অর্ণবের সততা ও নিষ্ঠার প্রতি আস্থা রাখে।
Panel 8
অষ্টম দৃশ্য: অবশেষে, সরকার অর্ণবের আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দেয় এবং মিস্টার রায়ের কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। অর্ণব তার স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হন। অর্ণব (হাসিমুখে): আমি জানতাম, সত্যের জয় হবেই। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে পারব। বর্ণনা: অর্ণবের গল্প প্রমাণ করে যে, একা দাঁড়িয়েও ন্যায় ও সত্যের জন্য লড়াই করা সম্ভব। এবং মানুষের সম্মিলিত শক্তি যেকোনো প্রতিকূলতাকে জয় করতে পারে।