Comic Story
Panel 1
সকাল দশটা। অফিসের ডেস্কের সামনে বসে আছে অনন্যা। ল্যাপটপে মনোনিবেশ করার চেষ্টা করছে, কিন্তু কিছুতেই পারছে না। কাজের চাপ যেন পাহাড়ের মতো চেপে বসেছে। তার চোখমুখ ক্লান্তিতে ভরা। পাশে এসে দাঁড়ালো শুভ, হাতে এক কাপ চা। শুভ: (হেসে) কিরে, মুখটা এমন শুকনো কেন? আজ কি ডেডলাইন নাকি? অনন্যা: (দীর্ঘশ্বাস ফেলে) ডেডলাইন না হলেও কাজের চাপটা তেমনই। মনে হচ্ছে দম বন্ধ হয়ে আসবে। শুভ: দাঁড়া, এক চুমুক চা খা। দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে। আর চাপ বেশি লাগলে বলিস, আমি আছি তো। অনন্যা: (একটু হেসে) থ্যাংক ইউ, শুভ। তুই না থাকলে আমি কী করতাম, জানি না।
Panel 2
দুপুর একটা। লাঞ্চের সময়। অফিসের ক্যান্টিনে বসে অনন্যা আর শুভ। অনন্যা চুপচাপ খাচ্ছিলো, শুভ লক্ষ্য করলো তার মন খারাপ। শুভ: কী হয়েছে রে? লাঞ্চটাও ঠিক করে খাচ্ছিস না যে? অনন্যা: (কাঁপা গলায়) মা অসুস্থ। কাল রাতে হঠাৎ করে শরীর খারাপ হয়েছে। বাবা ফোন করেছিলেন, খুব চিন্তায় আছি। শুভ: (হাত বাড়িয়ে অনন্যার হাতে আলতো করে স্পর্শ করে) আরে চিন্তা করিস না। চল, লাঞ্চের পর আমরা একসাথে তোর মায়ের কাছে যাবো। আমি বাবাকে ফোন করে জেনে নেবো কী অবস্থা। অনন্যা: (চোখ মুছে) সত্যি যাবি? শুভ: অবশ্যই। তুই একা গেলে ভয় পাবি। আমি সাথে থাকলে একটু সাহস পাবি, তাই না?
Panel 3
বিকেল পাঁচটা। অনন্যা আর শুভ অনন্যার মায়ের সাথে দেখা করতে হাসপাতালে যায়। শুভ ডাক্তারের সাথে কথা বলে মায়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেয়। অনন্যা মায়ের পাশে বসে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। ডাক্তার: (শুভকে) এখন উনি স্থিতিশীল আছেন। কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট আসবে কালকে, তারপর বলা যাবে আসল সমস্যাটা কী। আপনারা চিন্তা করবেন না, আমরা সবরকম চেষ্টা করছি। শুভ: (ডাক্তারকে) ধন্যবাদ। আমরা আপনার উপর ভরসা রাখছি। অনন্যা: (মায়ের দিকে তাকিয়ে, চাপা স্বরে) মা, তুমি ঠিক হয়ে যাবে, চিন্তা কোরো না।
Panel 4
পরের দিন সকালে, অনন্যা অফিসে এসে দেখে তার ডেস্কের উপর একটি ফুলের তোড়া রাখা। একটি ছোট চিরকুটে লেখা, 'সব ঠিক হয়ে যাবে। - শুভ'। অনন্যার মুখে এক টুকরো হাসি ফুটে ওঠে। সে জানে, শুভ পাশে আছে মানে কোনো ভয় নেই। অনন্যা: (মনে মনে) সত্যিই, শুভ না থাকলে আমি কী করতাম? কিছুদিন পর, মায়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। অনন্যা আবার কাজে মন দেয়। শুভ সবসময় বন্ধুর মতো পাশে থাকে। তাদের বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়। তারা একে অপরের শক্তি হয়ে ওঠে। শুভ: (অনন্যার দিকে তাকিয়ে) কিরে, আজ তোকে বেশ খুশি খুশি লাগছে। মায়ের শরীর এখন কেমন? অনন্যা: (হেসে) হ্যাঁ, মা এখন অনেকটা ভালো। কাল বাড়ি ফিরবেন। থ্যাংক ইউ, শুভ। তোর সাপোর্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভ: আরে ধুর! বন্ধু তো আমরা। এইটুকু তো করবই।