Comic Story
Panel 1
উইন্ডমিয়ার শহরের শান্ত দৃশ্য। পাহাড় আর সাগরের মাঝে লুকানো, এখানে বাড়িগুলি পুরনো, প্রাচীন এবং গাছপালায় ঘেরা। দোকানের বাইরে ঝাপসা সাইনবোর্ডে লেখা 'টাইম রিপেয়ারস'। এলসি, ১২ বছরের একটি কৌতূহলী মেয়ে, জানালার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখে বিস্ময় এবং উত্তেজনা।
Panel 2
একটি ঝড়ের রাতে, দোকানের ভিতরে আলো জ্বলে উঠেছে এবং ঘড়ির টিক টিক শব্দে ভরা। এলসি জানালার কাঁচে নাক ঠেকিয়ে দেখে, ভিতরে শত শত ঘড়ি—দেওয়াল ঘড়ি, পকেট ঘড়ি, ও একটি ড্রাগনের মতো দেখতে ঘড়ি যার চোখে লাল রত্ন। এলসি অবাক হয়ে বলে, 'এগুলো কী?'
Panel 3
কাউন্টারের পেছনে বসে আছেন একজন বৃদ্ধ লোক, যার রূপালী চুল আর ঝড়ের মতো চোখ। তিনি মৃদু হেসে বলেন, 'তুমি দেরি করেছো।' এলসি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, 'আমি তো জানতাম না আমাকে আসতে হবে।' বৃদ্ধ উত্তর দেন, 'কিন্তু সময় জানত।'
Panel 4
এলসি ভেতরে প্রবেশ করে এবং প্রতিটি ঘড়ি যেন আলাদা গল্প বলে তা দেখতে পায়। বৃদ্ধ বলেন, 'আমি শুধু ঘড়ি মেরামত করি না—আমি মুহূর্ত ঠিক করি। হারানো সময়, ভুল সিদ্ধান্ত—সব।' এলসির চোখে জিজ্ঞাসা।
Panel 5
'ওটা বন্ধ কেন?' এলসি একটা কোণে পড়ে থাকা বন্ধ ঘড়ির দিকে ইশারা করে জানতে চায়। বৃদ্ধ বলেন, 'এই ঘড়ির মালিক একটা স্বপ্ন ত্যাগ করেছিল। তুমি কি ওকে ফিরিয়ে দিতে চাও?' এলসির মনে প্রশ্ন আসে এবং কিছু অনুভব করতে শুরু করে।
Panel 6
অবাক হওয়ার আগেই ঘরটা অন্ধকার হয়ে যায় এবং এলসি নিজেকে স্কুলের মাঠে দেখতে পায়—ছোটবেলায়। সে দেখতে পায় যে তার ছোট্ট ‘স্ব’-টা আঁকার প্রতিযোগিতার পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু মাথা নিচু করে চলে যাচ্ছে। এলসির হৃদয়ে দুঃখ লাগে।
Panel 7
'যাও,' ফিসফিস করে বলেন বৃদ্ধ। এলসি ছোট্ট এলসির পাশে গিয়ে দাঁড়ায় যেন সময় একত্র হয়ে গেল। সে পোস্টারটা তুলে নেয় এবং বুকে উত্তেজনা অনুভব করে। এসময় তার চোখ ফেটে আসে আনন্দে এবং সাহসে পূর্ণ হয়।
Panel 8
'ধন্যবাদ,' বলল এলসি যখন সে আবার দোকানে ফিরে আসে এবং দেখায় যে সেই বন্ধ ঘড়িটি ধীরে ধীরে টিক টিক করছে এখন। বৃদ্ধ মাথা নাড়লেন এবং বলেন, 'আবার এসো। সময় কখনো ফুরোয় না—মেরামতের সুযোগ থাকে সবসময়।’ এলসির মুখে একটি প্রশান্ত smile দেখা যায়।
Panel 9
'দোকান থেকে বেরিয়ে আসার সময় আলো নিভে যায়,' শহরের রাস্তায় ফিরতে গিয়ে এলসি ভাবে—'যখন তুমি তোমার সময় খুঁজে পাও তখন দোকানটা উধাও হয়ে যায়।’ কেউ বলে এটা সবসময় থাকে—ঠিক সময়ের অপেক্ষায়।’