Comic Story
Panel 1
গভীর সবুজ ধানক্ষেতের পাশে ছোট্ট একটি গ্রাম, শান্তিপুর। গ্রামের প্রান্তে, পুরোনো বটগাছের ছায়ায় বাঁধা ছিল ভোলা নামের এক ছাগল। ভোলা ছিল শান্ত, নিরীহ কিন্তু একটু বোকা। গ্রামের রাখাল হরি রোজ সকালে তাকে মাঠে চরাতে নিয়ে যেত। আজকেও হরি ভোলাকে ডাকছে, “ভোলা, ভোলা! চল মাঠে যাই।” ভোলার মন খারাপ, কারণ আজ আকাশ মেঘলা।
Panel 2
মাঠে গিয়েও ভোলার মন খারাপ। মেঘ আরও ঘন হয়ে এসেছে। হরি অন্য ছেলেদের সাথে গল্প করছে, আর ভোলা ঘাস খাচ্ছে। হঠাৎ, ঝমঝম করে বৃষ্টি নামল। হরি আর তার বন্ধুরা দৌড়ে পালালো, ভোলাকে ফেলেই। ভোলা ভয়ে কাঁপতে লাগল, ভাবছে, “এখন আমি কি করি? কোথায় যাই?”
Panel 3
বৃষ্টি আরও বেড়ে গেল। ভয়ে ভোলা এদিক ওদিক তাকাতে লাগল। দূরে একটা পুরোনো, ভাঙাচোরা মন্দির দেখতে পেল। মনে মনে বলল, “যাক, ওখানে একটু আশ্রয় নেওয়া যাক।”
Panel 4
ভোলা মন্দিরের ভেতরে ঢুকে দেখল, সেখানে আরও কয়েকজন গ্রামবাসী আশ্রয় নিয়েছে - একজন বৃদ্ধ কৃষক, দুই মহিলা আর একটি ছোট বাচ্চা। সবাই ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে। কৃষকটি বলল, “একি ভোলা নাকি? এখানে কি করে এলি?” ভোলা ভয়ে ভয়ে বলল, “বৃষ্টিতে আটকা পড়ে গেছি কাকা।”
Panel 5
বৃষ্টি চলতেই থাকল। কিছুক্ষণ পর, মন্দিরের দেয়াল ফুঁড়ে জল ঢুকতে শুরু করল। সবাই আরও ভয় পেয়ে গেল। ছোট বাচ্চাটি কাঁদতে শুরু করল। এমন সময় ভোলার মাথায় একটা বুদ্ধি এল। সে বলল, “আমার একটা বুদ্ধি আছে। আপনারা সবাই আমার পিঠে উঠুন। আমি আপনাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাব।”
Panel 6
প্রথমে সবাই ইতস্তত করছিল, কিন্তু আর কোনো উপায় না দেখে একে একে ভোলার পিঠে উঠলো। বৃদ্ধ কৃষক, দুই মহিলা আর বাচ্চা - সবাই মিলে ভোলার পিঠে চড়ে বসল। ভোলা সাবধানে মন্দির থেকে বেরিয়ে এলো।
Panel 7
বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ভোলা খুব সাবধানে, ধীরে ধীরে গ্রামের দিকে এগিয়ে চলল। গ্রামের লোকেরা দূর থেকে এই দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে গেল।
Panel 8
শেষ পর্যন্ত ভোলা সবাইকে নিরাপদে গ্রামের উঁচু জায়গায় পৌঁছে দিল। সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচল এবং ভোলাকে ধন্যবাদ জানাল। হরি ছুটে এসে ভোলাকে জড়িয়ে ধরল। সেদিন থেকে গ্রামের লোকেরা ভোলাকে আর বোকা ভাবত না। তারা বুঝতে পারল, সাহস আর বুদ্ধি থাকলে ছোট প্রাণীরাও অনেক বড় কাজ করতে পারে।